ইসলামের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশ বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অ্যাক্ট আকারে তা অনুমোদিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী ইসলামের সমুন্নত আদর্শ ও মূল্যবোধের লালন ও চর্চা করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে।
বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ধর্মীয় এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম গ্রহন করেছে। মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ জেলায় সর্বমোট ১০৮৯ টি প্রাক প্রাথমিক, কুরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে । বিগত ৩ বছরে ১,০৭,৭৭৫ জন শিক্ষার্থীকে (প্রাথমিক , কোরআন এবং বয়স্ক) ধর্মীয় ও নৈতিকতা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। “হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০০জনকে (TOT) প্রশিক্ষণ, ২টি সেমিনারে ২০০জনকে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ১৪০০জন খতিব প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় ১৬ টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও চালু করা হয়েছে। মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধের বিকাশ সাধন ও ইসলামের প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে বিগত বছরসমূহে সর্বমোট ৮০৯টি টাইটেলের বই বিপনন; বিপননকৃত বই বাবদ ২,৭৫,০০০/- টাকা করা হয়েছে। ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর মাধ্যমে ২২৫ জন ইমামকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং ১০৮ জনকে রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য মনোনিত করা হয়। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিশু-কিশোরদের নৈতিকতা উন্নয়নের জন্য ২৭টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গত তিন বছরে ০৯টি উপজেলায় সর্বমোট ৪৫টি মসজিদ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS